প্রযুক্তির উন্নতির বিকাশের ফলে এখন আমরা প্রায় প্রতিটি মানুষের হাতে স্মার্টফোন দেখতে পাই । আর সেই স্মার্টফোনের কথা বলতে গেলে সবার প্রথম আমাদের মনে চলে আসে জনপ্রিয় ব্রান্ড শাওমির কথা । রুচিভেদে হাই কোয়ালিটির স্মার্টফোন থেকে শুরু করে লো কোয়ালিটি মানের স্মার্ট ফোন তৈরি করে থাকে কোম্পানিটি । যার কারণে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তাদের বাজেট সাপেক্ষে এমআই ব্র্যান্ডের একটি স্মার্টফোন বেছে নিতে পারে । 20 থেকে 30 হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে কোম্পানিটিকে আমরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মডেল মার্কেটে লঞ্চ করতে দেখেছি তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো Redmi Note 11 Pro । প্রিভিয়াস ভার্শনটি থেকে এই মডেলটিতে আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবো । কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং পরিবর্তনগুলো গ্রাহকদের কি কি সুবিধা এবং অসুবিধায় আসবে সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো রিভিউতে । 2 নভেম্বর , 2021 তারিখে এমআই কোম্পানি মডেলটিকে প্রথমবারের মতো মার্কেটে লঞ্চ করে ।
বডি লুক
Redmi Note 11 pro মডেলটির বডি ডিজাইন আইফোন 12 সিরিজের মতো দেওয়া হয়েছে । হ্যান্ডসেটটির বডি অনেকটা স্লিম হওয়ার কারণে আকারের দিক থেকে মোবাইল ফোনটি আমার কাছে ভালো লেগেছে । তবে বডির পিছনে যে কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছে সেটি দেখতে অনেকটা মনমুগ্ধকর হলেও প্লাস্টিকের তৈরি হওয়ার কারণে হাতে ব্যবহার করার সময় কিছুটা বেমানান মনে হতে পারে । মডেলটির বডি প্লাস্টিকের তৈরি যা আসলে গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় কিছু নয় । যার কারণ হলো হালকা আঘাতে বডি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি । আর ঠিক এই জন্য আমার পক্ষ থেকে সাজেস্ট থাকবে যারা এই মডেলটি ব্যবহার করবেন তারা অবশ্যই স্মার্টফোনটির সথে ব্যাক কভার ব্যবহার করবেন । বামপাশে আমরা হোম বাটনের দেখা পাবো যেটিকে আমরা ফিজিক্যাল স্ক্যানার অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট হিসাবেও ব্যবহার করতে পারব । স্মার্টফোনটির স্পিকার কোয়ালিটি বেশ ভালো পাওয়া যাবে । কালো , সবুজ , নীল রঙের ছাড়াও আরো ভিন্ন কয়েকটি কালারে এই স্মার্টফোনটিকে পাওয়া যাবে । বডি বিল্ডে থাকছে প্লাস্টিকের ফ্রেম । মডেলটির বডি প্রটেক্টেড করা হয়েছে আইপি 53 দিয়ে ধুলোবালি এবং পানিরোধক । সেটটির ব্যাক সাইডে ডিজাইনিং এর একটি ব্যাপার রয়েছে যে বিষয়টি গ্রাহকদের ভালো লাগতে পারে ।
নেটওয়ার্কিং সিস্টেম
চমৎকার একটি বিষয় হচ্ছে এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ স্পিড পাওয়া যাবে । এখন কথা হলো যেসব কান্ট্রি গুলোতে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট নয় অথবা এখন পর্যন্ত চালু হয়নি তারা কি এই নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হতে পারবে বা উপভোগ করতে পারবে ? আপনি যে কান্ট্রিতে থেকে এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে নেটওয়ার্ক কানেকশন উপভোগ করছেন সেই দেশটিতে যদি ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই উপভোগ করতে পারবেন । আশা করি বিষয়টি সকলেই স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পেরেছেন । ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক কানেকশন এর বেশ কিছু ভার্শন চোখে পড়েছে । সেগুলো হলো 1 ,3 , 5 , 8 , 28 , 38 , 41 , 77 , 78 । ইনফারেট পোর্ট এর পাশাপাশি এখানে থাকছে এনএফসি টাইপ । ওয়াইফাই , জিপিএস , এফএম রেডিও এর পাশাপাশি ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক গুলো ভালো মানের স্পিডের সাথে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে । নেটওয়ার্কিং সিস্টেম অথবা ওয়ারলেস কানেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এইচটিএমএল 5 ।
ডিসপ্লে কোয়ালিফিকেশন
অত্যাধুনিক এবং দারুণ ফ্যাসিলিটির সাথে এই স্মার্টফোনটি ডিসপ্লেটিকে আমরা দেখতে পেয়ে যাব । আকার আকৃতির পাশাপাশি গুণগত মানের দিক দিয়ে এই বাজেটের মধ্যে অন্যান্য মডেলগুলো থেকে এই স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে অনেকটা ভালো বলা যেতে পারে । পাঞ্চ হোল ফুল এইচডি রেজুলেশন 1080 ×2400 পিক্সেল । এছাড়াও আরও থাকছে 395 পিপিআই ডেনসিটি । ডিসপ্লে প্রটেকশন এর জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে কর্নিং গরিল্লা গ্লাস 5 এর প্রোটেকশন । 6.67 ইঞ্চি ডিসপ্লে সাইজ ব্যবহারে অনেকটা সুবিধা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যায় । ডিসপ্লে কালেকশনে যে বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেটি হল 120 হার্জের রিফ্রেশ রেট । ব্রাইটনেস এর পরিমাণ খুব সন্তোষজনক নরমাল লাইটিং পজিশনে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে তেমন কোন অসুবিধা হবে না । ডিসপ্লে নিয়ে আলোচনা করার পর আমার ইতিবাচক দিক ছাড়া নেতিবাচক কোন দিক চোখে পড়েনি । ডিসপ্লে ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ অনুভূতি হবে বলে ধারণা করা যায় ।
ব্যাটারি পাওয়ার
শাওমি ব্রান্ডের মডেলগুলোতে প্রায় প্রতিটি সিরিজেই আমরা ভালো মানের ব্যাটারি পারফরম্যান্স লক্ষ্য করে থাকি । Redmi Note 11 pro মডেলটিতে আমরা মোটামুটি একটি ভালো মানের ব্যাটারি পারফরমেন্স দেখতে পেয়েছি । স্মার্টফোনটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে দেওয়া হয়েছে 5000 mAh পাওয়ার । ব্যাটারি পাওয়ার এর বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত কোন মতামত নেই । ব্যাটারি পাওয়ার এবং এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সন্তোষজনক ফলাফল আশা করা যায় । চার্জার বক্সের ভিতরে রয়েছে 67 ওয়াটের চার্জার ক্যাবল । যার মাধ্যমে স্মার্টফোনটিকে সম্পূর্ণ চার্জ হতে প্রায় 53 মিনিট সময় লেগেছে । যদিও এই স্মার্টফোনটি ফুল চার্জ হতে আরও অনেক কম সময় লাগার কথা বলে তথ্য জানা গেছে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে । অন্যান্য মডেলের সাথে কম্পেয়ার করলে এই স্মার্টফোনটি ফুল চার্জ হতে অনেক সময় লেগে যায় । ব্যাটারি পাওয়ার ডেলিভারির বিষয়টি সকলের কাছেই ভালো লাগবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে ।
ক্যামেরা পারফরম্যান্স
ডিভাইসটির ব্যাকসাইড অথবা প্রাইমারি ক্যামেরা কালেকশনে আমরা ট্রিপল রেয়ার ক্যামেরা আইটেম দেখতে পেয়ে যাব । ক্যামেরা গুলোর সেটআপ বিশেষভাবে আমার কাছে ভালোই লেগেছে । মেইন ক্যামেরা কালেকশনে থাকছে 108 মেগাপিক্সেল এর ওয়াইড ফাংশন এবং পরবর্তী ক্যামেরা সেন্সর আল্ট্রা ওয়াইড ফাংশনে দেখা যাবে 8 মেগাপিক্সেল । তৃতীয় ক্যামেরা সেটআপে দেওয়া হয়েছে 2 মেগাপিক্সেল এর একটি ম্যাক্রো ফাংশন । মেইন ক্যামেরা ফাংশন এর সাহায্যে ডেলাইটে অনেকটা ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব । ছবির ব্রাইটনেস অথবা কালারফুল বাড়িয়ে দেওয়ার মতো বিশেষ ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তবে সবুজ , লাল এবং নীল কালার গুলোকে ক্যামেরা বিশেষ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হবে । অপরদিকে আল্ট্রা ওয়াইড ফাংশন এর মাধ্যমে 120 ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে যেকোনো ছবি অথবা ভিডিও রেকর্ড করা খুবই সহজ হয়ে দাঁড়াবে । সেলফি ক্যামেরায় 16 মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে । এই মডেলটির প্রিভিয়াস ভার্শনে অর্থাৎ Redmi Note 10 pro মডেল থেকে এই মডেলটিতে বেশি একটা ইমপ্রুভমেন্ট আমার চোখে ধরা পড়েনি ।
গেমিং পারফরম্যান্স
অনলাইন গেমিং পারফরম্যান্সের কথা বলতে গেলে এই স্মার্টফোনটির অবস্থান মোটামুটি মিডিয়াম তালিকার মধ্যে পাওয়া যাবে । হাই কোয়ালিটির গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সাথে খুবই স্মুথলি ভাবেই অনলাইন ভিত্তিক গেমগুলো খেলা যাবে । আলাদাভাবে গেমিং প্রসেসর ব্যবহার করার কারণে আমাদের গেম খেলার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা লক্ষ্য করা যাবে । তবে আপনি যখন দীর্ঘক্ষন অনলাইন গেমস গুলো খেলবেন সে ক্ষেত্রে স্মার্টফোনটি অনেকটা গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । আর আপনি যদি হাইলেবেলের ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য এই স্মার্টফোনটি ততটা ভালো পারফর্মেন্স দিতে পারবে না বিশেষ করে গেম খেলার জন্য । নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে এই স্মার্টফোনটির বিকল্প ডিভাইসগুলোতে আমরা এর থেকে ভালো পারফরর্মেন্স লক্ষ্য করেছি । গেম খেলার জন্য এই ডিভাইসটি অযোগ্য আমি তেমন কিছু বলছি না যদি আপনি প্রফেশনাল ভাবে গেম খেলার জন্য এই ডিভাইসটিকে চয়েজ করে থাকেন তাহলে এই স্মার্টফোনটি আপনার জন্য ততটা ভালো নাও হতে পারে । কিন্তু স্বল্প ব্যবহারের খুব ভালো গেমিং পারফরম্যান্স দিবে বলে ধারণা করা যায় ।
ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল স্টোরেজ
ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল স্টোরেজ যেটিকে আমরা রেম এবং রোম বলে থাকি । স্মার্টফোন সম্পর্কে আমাদের যাদের মোটামুটি ভালো নলেজ রয়েছে তারা হয়তো স্টোরেজ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন কিন্তু যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য কঠিন মনে হতে পারে । যারা স্মার্টফোন ব্যাবহার করে অথবা না করে তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই স্টোরেজের সম্পর্কে কম-বেশি ধারণা রাখে । কিন্তু স্টোরেজ আসলে কি ? স্টোরেজের কাজ মূলত স্মার্টফোনের কোন জায়গায় এবং এর উপকারিতা এবং অপকারিতা কি ? এই বিষয়ে আমাদের অনেকেরই ধারনা নেই । একটি স্মার্টফোনকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য স্টোরেজের প্রয়োজন হয়ে থাকে । আর অবশ্যই আমরা যারা স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করেছি তারা হয়তো দেখতে পেয়েছি যে কম স্টোরেজের স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করার সময় বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা । আপনি যদি এমআই কোম্পানির Redmi Note 11 pro মডেলটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি এখানে পেয়ে যাবেন 6 জিবি এবং 8 জিবি রেম এবং এর পাশাপাশি থাকছে 64 এবং 128 জিবি রোম । এছাড়াও আলাদাভাবে আপনার স্টোরেজের প্রয়োজন হলে ব্যবহার করার সুবিধা থাকছে মেমোরি কার্ডের । মেমোরি কার্ড স্লট এবং ডাবল সিম কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা পাওয়া যাবে ।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং সাউন্ড সিস্টেম
সিকিউরিটি সিস্টেমের কথা বলতে গেলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আমাদের মাথায় কড়া নাড়ে সেটি হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । সিকিউরিটি সিস্টেমের অন্যতম লেটেস্ট এবং আপডেট ভার্সন হল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এর সাহায্যে আপনি হাতের আঙ্গুলের যেকোনো একটি প্রতিচ্ছবির মাধ্যমে আপনার ফোনটিকে লক করে রাখতে পারবেন যেটি অন্য কেউ আনলক করার ক্ষমতা রাখে না । দামি , কম দামি প্রায় প্রতিটি মডেলে কিন্তু এখন আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এর দেখা পেয়ে যাই । এই স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পেয়ে যাব । ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর টি খুব দ্রুতই শনাক্ত করতে সক্ষম এবং সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারবে বলে ধারণা করা যায় । ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এর পাশাপাশিও পাওয়া যাবে প্রক্সিমিটি , এক্সিলারোমিটার , কম্পাস এবং প্যাটার্নের মতো আরো অন্যান্য সেন্সর । স্মার্টফোনের যে বিষয়টা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম । সাউন্ড সিস্টেম এককথায় আউটস্ট্যান্ডিং বলা যেতে পারে । যারা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভিডিও প্লেব্যাক দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই মডেলটি অনেকটাই হেল্প ফুল হতে পারে বলে আমার ধারণা ।
রিলিজ ডেট এবং মূল্য
নতুন বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি 18 , 2022 এমআই কোম্পানিটি তাদের গ্রাহকদের জন্য এই মডেলটি মার্কেটে রিলিজ করেছে । উপরের আলোচনায় অর্থাৎ রিভিওতে আমরা বুঝতে পেরেছি এই স্মার্টফোনটির ব্যবহার করার কি কি সুবিধা এবং অসুবিধার মুখোমুখি হতে হবে । স্মার্টফোনটিকে ব্যবহার করার জন্য আমাদেরকে 25,000 টাকা খরচ করতে হবে । স্মার্টফোনের মূল্য প্রথম প্রথম আমাদের কাছে বেশি মনে হতে পারে কিন্তু এর ফুল ফিচার সম্পর্কে ধারণা যখন অর্জন হয়ে যাবে তখন আমাদের কাছে ঠিকঠাক বলেই মনে হবে । তবে এটা ধারণা করা যায় যে কিছুদিন পরে স্মার্টফোনটির মূল্য অনেকটা কমে যাবে । মিডিয়াম রেঞ্জের ভিতরে আমাদের যাদের একটু ভালো মানের স্মার্টফোন ব্যবহার করার শখ হয়েছে এই মডেলটি তাদের জন্য একটি অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে মার্কেটের মধ্যে । এমআই কোম্পানির অন্যতম মডেল গুলোর মধ্যে এই মডেলটিতে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় । ফিচার এবং পারফরম্যান্সে ভরপুর থাকলেও গ্রাহকদের কাছে এর মূল্যটা একটু বেশি বলে মনে হতে পারে ।