প্রযুক্তি অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির বিকাশ সাধনের অন্যতম একটি বাহক হল স্মার্টফোন । মিডিয়াম বাজেটে অর্থাৎ ধরা-ছোঁয়ার ভেতরে ভিভোর রিলিজ করা স্মার্টফোন গুলো বেশ ভালই চোখে পড়ছে । কোম্পানিটির রিলিজ করা লেটেস্ট সিরিজগুলোর মধ্যে Y33S সিরিজটি আজকের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় । কোম্পানিটি তাদের মডেলগুলোতে বেশ সুন্দর একটি লুক দিয়ে থাকে যা গ্রাহকের নজর কেড়ে নিতে পারে । নারী বা পুরুষ নির্বিশেষে আমরা প্রায় সকলের হাতেই ভিভোর সিরিজগুলোর দেখা পেয়ে যাই । এই মডেলটির পারফরম্যান্স তার ব্যতিক্রম কিছু নয় । Y33s মডেলটি রয়েছে একটি আকর্ষণীয় লুক যা প্রথম দেখায় আপনার নজর কাঁড়তে বাধ্য করবে । এই মডেলটি অনেকের কাছেই নতুন আবার অনেকের কাছে মনে হতে পারে পুরনো । এই কথাটির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক রহস্য আর সেটি হলো সম্প্রতি এই ডিভাইসটি 2021 সালে ভারতের মার্কেটে লঞ্চ হয়েছিল আর দীর্ঘ সাত মাস পর দেশের বাজারে আমরা এটিকে লঞ্চ হতে দেখি । যাই হোক স্মার্টফোনটিকে খতিয়ে দেখা যাক পারফরম্যান্স এবং ফিচারের দিক দিয়ে এই স্মার্টফোনটি কতদূর এগিয়ে ।
ডিসপ্লে সাইজ
6.58 ইঞ্চি সাইজের আইপিএস এলসিডি টাইপের একটি ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে মডেলটিতে । যেখানে 60 Hz রিফ্রেশ রেট এর পাশাপাশি screen-to-body রেটিও রেট থাকছে 83.4 । ডিসপ্লেটিকে কি দিয়ে প্রটেক্টেড করা হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি । সেজন্য অবশ্যই সাজেস্ট থাকবে আলাদাভাবে একটি প্রটেক্টেড গ্লাস ব্যবহার করার । ডিসপ্লের টপ সেন্টারে অর্থাৎ মাঝামাঝি ওয়াটার ড্রপ নচ ব্যবহার করা হয়েছে । ডিসপ্লে সেকশনের যে বিষয়টি আমাকে অনেকটা দিশা হত করেছে সেটি হল সেম বাজেটে আমরা এমোলেড বা সুপার এমোলেড এর সাথে 90Hz রিফ্রেশ রেট ইতিমধ্যে অনেক কোম্পানিকে অফার করতে দেখেছি । এদিক দিয়ে Y33s কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়বে । এমনিতে ডিসপ্লেতে ভালো পরিমাণে কালার পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যায় । ডিসপ্লে ফিচারে এইচডি রেজুলেশন এর সাথে multi-touch এর উপস্থিতি দেখা যাবে । লাইটিং পজিশন এর কথা বলতে গেলে দিরেক্ট সানলাইটে কিছুটা ঝামেলা হলেও বাকি পজিশনে অনেকটা দারুণ পারফরমেন্স পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ ।
ক্যামেরা পারফরম্যান্স
ক্যামেরা পারফরম্যান্সের কথা বলতে গেলে Vivo ওয়ান অফ দ্যা ভ্যালুয়েবল স্মার্টফোন । ভিভো তার Y33s মডেলটির প্রাইমারি ক্যামেরা ফাংশনে ট্রিপল ক্যামেরা রেখেছে । যার ওয়াইড সেন্সরে 50 মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো এবং ডেপট সেন্সরে 2 মেগাপিক্সেল করে মোট তিনটি ক্যামেরার সমন্বয় দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয় । 50 মেগাপিক্সেল এর সাহায্যে হাইলাইটিং পজিশনে খানিকটা ভালো ইমেজ পাওয়া গেলেও লো লাইটিং পজিশনে ব্রাইটনেস এর পরিমাণ অনেকটাই কম বলে মনে হয়েছে আমার কাছে । ক্যামেরা ফাংশন গুলোর মধ্যে যে সেন্সরটিকে আমি খুবই মিস করবো সেটি হচ্ছে আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর । 20 থেকে 21 হাজার টাকা বাজেটের স্মার্টফোন গুলোতে আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর না দিলেই নয় । এই বিষয়টির জন্য অনেক গ্রাহক দিশেহারা হতে পারে । সেলফি ক্যামেরা বা সামনের ক্যামেরার জন্য গ্রাহকদের কাছে বিভোর একটি ফেভারিট স্মার্টফোন । সামনের ক্যামেরায় দেখা মিলবে 16 মেগাপিক্সেল এর একটি চমৎকার সেন্সর । সেখানে লাইটিংয়ের তেমন কোনো সমস্যা হবার কথা নয় । ডায়নামিক রেঞ্জের পারফরম্যান্স বা ফিচার দেখার মতো হবে বলে আমি ধারণা করছি ।
অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর
2022 সালে এসে 21 হাজার টাকার মধ্যে থাকা স্মার্টফোনগুলোতে আপনি একটি ভাল মানের প্রসেসরের আশা করতেই পারেন এটা অস্বাভাবিক এর কিছু নয় । প্রসেসর একটি স্মার্টফোনের অন্যতম একটি অংশ । এখন আমরা দেখে নিব ভিভো তাদের নতুন এই মডেলটিতে কেমন প্রসেসর ব্যবহার করেছে । 16 ন্যানোমিটার এর সাহায্যে MediaTek helio G80 প্রসেসর দেওয়া হয়েছে । সচরাচর নরমালি আমরা এই প্রসেসরটি 15 হাজার টাকা বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতে দেখতে পাই সে ক্ষেত্রে বলা যায় এই প্রসেসরটি নতুন কিছু নয় । এখানে কিছুটা হলেও আপডেটের প্রয়োজন ছিল কোম্পানির । মিডিয়াটেক হেলিও প্রসেসরটি ফেলে দেওয়ার মতো নয় বাট এই বাজেটে আরো কিছু আপডেট হলে ভালো হতো । অপারেটিং সিস্টেমকে রান করা হয়েছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 11 এর মাধ্যমে । এভাবে হাই কোয়ালিটির অ্যাপস এবং সফটওয়্যার গুলো ব্যবহারে তেমন কোনো অসুবিধার মুখোমুখি হতে হবে না আশা করি ।
ব্যাটারি পাওয়ার
স্মার্টফোনটি আকারে যথেষ্ট চিকন তারপরেও এখানে 5000 মিলিঅ্যাম্পিয়ার পাওয়ারের একটি ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে । ব্যাটারির পাওয়ার এর প্রতি অবশ্যই সন্তুষ্টি থাকা স্বাভাবিক বিষয় । ব্যাটারীটি চার্জ দেওয়ার জন্য এর সাথে 18 ওয়াটের একটি চার্জার পাওয়া যাবে । এই বিষয়টি আমাদেরকে কিছুটা হলেও ভাবাবে তার কারণ হলো 5000 মিলিঅ্যাম্পিয়ার পাওয়ার ব্যাটারির সাথে 18 ওয়াট অনেকটা বেমানান দেখায় । এখানে 20 ওয়াট বা 25 ওয়াট দিলে স্মার্টফোনের ব্যাটারিটিকে আরও দ্রুত সময়ে চার্জ করা যেত । 5000 মিলি এম্পিয়ার যেহেতু ব্যবহার করা হয়েছে সেহেতু এটা জোর দিয়ে বলা যেতে পারে যে আপনি এখানে খুবই ভালো মানের একটি ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন । তাছাড়া ডিসপ্লেতে থাকছে 60 Hz রিফ্রেশ রেট যার কারণে ব্যাটারির উপর তেমন বেশি চাপ পড়বে না । সম্পূর্ণ একদিন আপনি ইজিলি ব্যবহার করতে পারবেন এই ডিভাইসটিকে ফুল চার্জে ।
বডি কোয়ালিটি
ডিভাইসটির সম্পূর্ণ বডি প্লাস্টিকের আবরণে তৈরি যা কারণে এটি কে দেখতে অনেকটা প্রিমিয়াম বা গুড লুকিং মনে হলেও হাতে ব্যবহারে তেমন একটা প্রিমিয়াম ফিল পাওয়া যাবে না । স্মার্টফোনটির ওজন আমাদের কাছে কিছুটা ভারী বলে মনে হতে পারে তার কারণ আমরা এখানে আইপিএস এলসিডি ব্যবহার করা হয়েছে যেটার ওজন কিছুটা ভারী । ভিন্ন তিনটি কালারে এই স্মার্টফোনটিকে বাজারে পাওয়া যাবে । তবে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ব্ল্যাক কালারটি খুবই ভালো লেগেছে । এছাড়া ভলিউম রকার এবং সাউন্ড সিস্টেমের জন্য স্পিকার ও 3.5 এম এম অডিও জ্যাক যেগুলোর অবস্থান ঠিকঠাক বলেই মনে হয়েছে । স্মার্টফোনটিতে খুব সহজে দাগ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর এই জন্য স্মার্টফোনটির সাথে যে ব্যাক কভার রয়েছে সেটি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী । বডি ডিজাইনের এগেইনস্টে কিছু বলার মত নেই মাইন্ড ব্লোইং ডিজাইন রয়েছে এখানে ।
মেমোরি পারফরম্যান্স
একটি ডিভাইসের মেমোরি পারফরম্যান্স যদি ভাল থাকে তাহলে সেই স্মার্টফোনটি ক্লিয়ার ভাবে অর্থাৎ হ্যাঁং অথবা লেকবিহীন ব্যবহার করা যাবে । এটা হয়তো আমরা সবাই জানি । আর এই জন্যই আমরা স্মার্টফোনগুলো ক্রয় করার পূর্বে সর্বপ্রথম যে পারফরম্যান্সের দিকে তাকাই সেগুলোর মধ্যে মেমোরি পারফরম্যান্স একটি অন্যতম বিষয় । Vivo Y33S স্মার্টফোনটিতে 8 জিবি রেম এর পাশাপাশি রোম রয়েছে 128 জিবি । তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন এখানে একটি বিশাল পরিমাণ এর মেমোরি পারফরম্যান্স দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও থাকছে ভার্চুয়াল মেমোরির মাধ্যমে মেমোরি ফরমেট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ । এছাড়াও এক্সটার্নাল মেমোরি এর জন্য আলাদাভাবে মেমোরি কার্ড স্লট ব্যবহার করা হয়েছে এখানে আপনি বাড়তি স্টোরেজের জন্য মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন । মেমোরি পারফরম্যান্সের জন্য টেনশনের কিছু নেই যথেষ্ট পরিমাণে ভালো পারফরম্যান্স রয়েছে এখানে ।
গেমিং পারফরম্যান্স
অনলাইন গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে একটি ভালো মানের প্রসেসর । মোটামুটি মিডিয়াম রেঞ্জের স্মার্টফোনগুলোতে আমরা মিডিয়াটেক হেলিওর ম্যাক্সিমাম ব্যবহার দেখেছি । Vivo Y33s মডেলটিতেও আমরা Mediatek Helio G80 এর ব্যবহার দেখতে পাবো । অনলাইন গেম খোলো প্লে করার জন্য এটি একটি নরমাল প্রসেসরই বলা যায় । 15000 টাকার প্রসেসর যদি আমরা 20000 টাকার বাজেটের একটি স্মার্টফোনে দেখতে পাই তাহলে সেখানে এক বিশাল ঘাটতি থাকারই কথা । যার জন্য অনলাইন গেম প্লে করার সময় অনেক ঝামেলা চোখে পড়তে পারে । ছোটখাটো ল্যাক বা আটকে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে । ফ্রী ফায়ার পাবজির কথা যদি বলি তাহলে ডিফল্ট গ্রাফিক্সে কিছু সমস্যা চোখে পড়তে পারে । তবে যারা হার্ড লেভেলের গেম প্লে করেন তাদের জন্য এই মডেলটি ভালো পারফরম্যান্স করবে এটা জোর দিয়ে বলা অসম্ভব । টুকটাক ব্যবহারে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে এটা পসিবল । এছাড়াও গেমিং গ্রাফিক্স এর জন্য জিপিওতে অফার করা হয়েছে Mali G-52 MC2 ।
সিকিউরিটি এবং নেটওয়ার্ক
সিকিউরিটি সেন্সর গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় যে সেন্সর সেটি হল ফিজিক্যাল স্ক্যানার যার অবস্থান সাইড মাউন্টেডে হওয়ায় ব্যবহার করে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিল করা যাবে । যার কার্যকর ক্ষমতা অনেকটা ফাস্ট । স্মার্টফোনটির ভালো দিকগুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম গুড সাইড । ফিজিক্যাল স্ক্যানার এর পাশাপাশি আরও থাকছে প্রক্সিমিটি , এক্সিলারোমিটার , কম্পাস এবং লাইট সেন্সর এর মতো জনপ্রিয় সিকিউরিটি সিস্টেম । নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের কথা বলতে গেলে সবার আগেই চলে আসে এখানে ডুয়াল সিম ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে । ফোর্থ জেনারেশন নেটওয়ার্ক উপভোগ করা যাবে । 5.0 ভার্সনের ব্লুটুথ , ইউএসবি টাইপ সি সব মিলিয়ে একটা বেটার রেজাল্ট পাওয়া যাবে নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে । নেটওয়ার্কিং সিস্টেম এবং সিকিউরিটি সিস্টেমে বেস্ট পারফরমেন্স পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যায় ।
রিলিজ ডেট এবং মূল্য
28 মার্চ , 2022 দেশের বাজারে অফিশিয়াল ভাবে লঞ্চ করা হয় Vivo Y33s মডেলটিকে । যার প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 20,990 টাকা । প্রাইস সিগমেন্টের কথা যদি আমরা বলি তাহলে মোটামুটি ঠিকঠাক রয়েছে বাট ডিসপ্লে সেকশন এবং প্রসেসরে আমি অনেকটা আশাহত । এদিকে আরো বেটার রেজাল্ট দেওয়া হলে স্মার্টফোনটি একটি প্রিমিয়াম পারফরম্যান্স পেতে সফল হতো । পরবর্তী মডেলগুলোতে Vivo এদিকে হয়তো আরেকটু নজর রাখবে । বডি ডিজাইন থেকে শুরু করে সিকিউরিটি পারফরম্যান্স পর্যন্ত আমরা অনেক ভালো রেজাল্ট দেখতে পেয়েছি যেখানে খুবই ভালো মানের ব্যাটারি পাওয়ার , গুড লুকিং বডি ডিজাইনের দেখা পেয়েছি । ডিসপ্লের ক্ষেত্রে যদি এখানে একটি সুপার এমোলেড বা এমোলেড ব্যবহার করা হতো তাহলে আমার কাছে অনেকটা ভালো লাগতো । অপরদিকে বাজেটের সাথে প্রসেসর এর মিল পাওয়া যায়নি । সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত ছিল কোম্পানিটির ।
This HTML5 roulette recreation is playable from the browser of all your units - no app or flash download required! If you do, plan on an quantity you can to|you presumably can} afford to lose and really feel snug with. When it is gone, stroll away and consider the money spent for the pleasure of playing in} the sport. Remember that the on line casino is there to win your money 점보카지노 and should you play long enough, the chances are of their favor and you will lose your money. If you occur to win and are ahead, take your money and get a pleasant dinner.
উত্তরমুছুন