বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেস গুলোতে আমরা শাওমি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি দেখতে পেয়ে থাকি । স্মার্টফোনের কথা যদি বলি তাহলে মিডিয়াম রেঞ্জের মধ্যে শাওমি অনেকটা বেস্ট পারফরমেন্সের স্মার্টফোন রিলিজ করে থাকে । কেবলমাত্র স্মার্টফোন এমনটাও কিন্তু নয় ল্যাপটপ থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটা প্রযুক্তিতেই শাওমি বা এমআই কোম্পানির বেশ ভালো নাম দাম এখন মার্কেটে রয়েছে এটা আমরা বলতে পারি । তবে এখন আমরা শাওমির একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করব যা বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় এবং আলোচিত প্রযুক্তি । স্মার্ট ওয়াচ বা ঘড়ি প্রযুক্তি স্মার্টনেস বৃদ্ধিতে অনেকটাই জনপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে । অন্যান্য কোম্পানি গুলোর মত শাওমি কোম্পানীও একের পর এক স্মার্ট ওয়াচ মার্কেটে রিলিজ করে যাচ্ছে । কোম্পানিটির নতুন আরো একটি জনপ্রিয় স্মার্ট ওয়াচ সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হবে । নতুন মডেলটির নাম হল Xiaomi Smartband 7 pro । শাওমির নতুন স্মার্টওয়াচটির ফুল স্পেসিফিকেশন এই রিভিউ এর মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হবে এখান থেকে আপনারা বুঝতে পারবেন এই স্মার্ট ওয়াচ বা ঘড়িটি ব্যবহার করা আপনাদের জন্য কতটা ভালো বা খারাপ হতে পারে ।
আলোচনার প্রথমেই আপনাদের মাঝে তুলে ধরা যাক এই স্মার্ট ওয়াচ এর বডি ডিজাইন । এই স্মার্ট ওয়াচ বা ঘড়িটি মূলত একটি ব্যান্ড , যার কারণে বডিতে কোন বাটন ব্যবহার করা হয়নি । আর এই স্মার্ট ওয়াচ বা ঘড়িটি আমরা কালো এবং সাদা কালারে মার্কেটে পেয়ে যাব । বডি ডিজাইন সম্পূর্ণ প্লাস্টিকের তৈরি তবে এটা দেখতে এতটাই প্রিমিয়াম যে প্রথম দেখায় আপনি এটিকে দারুন ফিনিশিং বলেই অভিহিত করতে পারবেন বলে আমি ধারণা করছি । ঘড়িটির ভিতরে দুইটি স্ট্রেপ বা বেল ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলো সিলিকন বা রাবারের তৈরি । তবে দেখা গেল ঘড়ির ভিতরে ব্যবহার করা বেলগুলো আপনার কাছে ভালো লাগছে না সে ক্ষেত্রে আপনি কিন্তু আলাদাভাবে আপনার পছন্দ মতো বাজার থেকে বেল কিনে ব্যবহার করতে পারবেন । আর সবচেয়ে ভালো একটি দিক হলো এই স্মার্ট ওয়াচটি যখন আপনি হাতে ব্যবহার করবেন তখন কিন্তু অনেকটাই প্রিমিয়াম ফিল করতে পারবেন ।
ব্যাটারি ব্যাকআপ বা ব্যাটারি পারফরমেন্সের দিকে আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে আমার নজরে জাস্ট দারুন পারফরমেন্স ধরা দিয়েছে এবং আপনাদের চোখেও ভালো পারফরম্যান্স ধরা পড়বে বলে আমি আশাবাদী । শাওমির নতুন এই স্মার্টওয়াচটির ভিতরে 235 মিলি এম্পিয়ার পাওয়ার এর ব্যাটারি ব্যাকআপ দেওয়া হয়েছে । আর এই ব্যাটারি ব্যাকআপ আমার কাছে পার্সোনালি ভালো লেগেছে । কোম্পানিটির অফিসিয়াল পেইজ থেকে আমরা জানতে পেরেছি এর ব্যাটারি ব্যাকআপ আপনি 10 দিন থেকে 12 দিন পর্যন্ত পেয়ে যাবেন । এখন আমরা অনেকেই আবার কি করি স্মার্টফোনের সাথে কানেক্ট রেখে এলইডি স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করে থাকি । আর এমনটা আপনারা এই স্মার্টওয়াচটির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারবেন । আর এক্ষেত্রে মিনিমাম ব্যাটারি ব্যাকআপ আপনারা পেয়ে যাবেন 5 থেকে 6 দিনের মতো । আর এই স্মার্ট ওয়াচটি সম্পূর্ণ চার্জ হওয়ার জন্য দুই ঘন্টার আশেপাশের সময় নিবে ।
প্রিমিয়াম এই স্মার্টওয়াচটির আকর্ষণীয় এবং দুর্দান্ত একটি সাইড হল এর ডিসপ্লে ফিচার । 1.64 ইঞ্চি সাইজের একটি ভালো মানের অ্যামোলেড টাইপের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে । ডিসপ্লের ব্রাইটনেসের কথা যদি বলি তাহলে এখানে আমরা 500 নিটস ব্রাইটনেস দেখতে পেয়ে যাব যেটা প্রাইস অ্যামাউন্টে কিন্তু অনেকটাই ভালো বলা যায় । এখানে আরো থাকছে 280×456 পিক্সেল রেজুলেশন । এর পাশাপাশি আরো রয়েছে 326 পিপিআই পিক্সেল দ্যান্সিটি । এখানে আমরা যে ডিসপ্লে ডেকোরেশন দেখতে পেয়েছি এটাকে অনেকটাই প্রিমিয়াম বলা যেতে পারে । অ্যামোলেড টাইপের ডিসপ্লের পাশাপাশি ভালো মানের ব্রাইটনেস একটি এলইডি স্মার্ট ওয়াচের গুণগত মান বৃদ্ধিতে অনেকটা সহায়তা করে থাকে যার দুটোই আমরা কিন্তু এখানে দেখতে পেয়েছি । ডিসপ্লে ফিচার ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং আমি এটাও আশা করি ডিসপ্লে আপনাদের কাছে অনেকটা ভালো লাগবে ।
এবার আপনাদের মাঝে একটি স্পেশাল সম্পর্কে তুলে ধরব যেটা জানার পরে আপনাদের অনেকটাই ধারণা পাল্টে যাবে এই স্মার্ট ওয়াচ সম্পর্কে । স্মার্ট ওয়াচ দেখা যায় ধুলোবালি এবং পানির সংস্পর্শে স্মার্ট ওয়াচ বা ঘড়িটি আসতেই পারে । আর স্পেশাল ফিচারটি হচ্ছে প্রিমিয়াম এই স্মার্ট ওয়াচটি ওয়াটারপ্রুফ । যার কারণে আপনি হাতে ব্যবহার করার সময় পানির সংস্পর্শে আসলেও স্মার্ট ওয়াচটি ক্ষতির মুখোমুখি হবে না । এটা কিন্তু ভালো দিক আর স্পেশাল যে বিষয়টি সেটি হলো আপনি এই স্মার্ট ওয়াচটি হাতে ব্যবহার করে পঞ্চাশ ফুট পানির গভীরে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে প্রিমিয়াম স্মার্ট ওয়াচটি কোন ক্ষতি হবে না । আর প্রিমিয়াম এই স্পেশাল ফিচারটির জন্য এই স্মার্ট ওয়াচ বা ঘড়িটির ভ্যালো কিন্তু অনেকটাই বেড়ে যায় । আপনি যদি এই স্পেশাল ফিচারটি প্রথমবারের মতো শুনে থাকেন তাহলে আপনার অনুভূতি কি সেটা সকলের মাঝে শেয়ার করতে পারেন ।
আলোচনার শুরুতেই কিন্তু আমরা বলেছি এটি একটি স্মার্ট ব্যান্ড ওয়াচ । যার কারণে এখানে কিন্তু আমরা স্পিকারের দেখা পাবো না । হ্যাঁ এই বিষয়টি আমাদেরকে কিছুটা ভাবিয়ে চলতে পারে । কল আদান-প্রদান না হলেও এখানে কিন্তু আমরা এসএমএস আদান-প্রদান করতে পারবো । হ্যাঁ তবে আমরা সকলেই কিন্তু একটি বিষয় ভাল করে জানি একেকটি মডেলের ফিচার বা পারফরমেন্স যেটাই বলি সেটা কিন্তু আলাদা আলাদা হয়ে থাকে । আর কোম্পানি এখানে স্পিকারের বিষয়টি রাখার প্রয়োজন মনে করেনি যার কারণে এটার মিসিং আমরা দেখতে পেয়েছি । এখন আপনি যদি মনে করে থাকেন যে ভালো ডিসপ্লের একটি স্মার্টওয়াচ নয় ভাল ডিসপ্লের একটি স্মার্ট ব্যান্ড ব্যবহার করবেন সেক্ষেত্রে কিন্তু এই মডেলটি আপনাদের কাছে স্মার্ট চয়েজ হতে পারে ।
নতুন এই স্মার্ট ব্যান্ড এর প্রাইজ বা মূল্য জানার পূর্বে একটি বিষয় আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি এর সাথে আমরা পেয়ে যাব দুই মাসের ওয়ারেন্টি । আর এই স্মার্ট ব্যান্ডটি ব্যবহার করার জন্য আমাদেরকে খরচ করতে হবে 6,900 টাকা । হ্যাঁ আমাদের কাছে বাজেট কিছুটা বেশি বলে মনে হতে পারে । আর ইন্টারনেসনাল মার্কেটপ্লেসের দিকে যদি একটু নজর দেই তাহলে দেখতে পাব $71 । স্মার্ট ব্যান্ডটির ভিতরে আমরা বেশ কিছু প্রিমিয়াম পারফরম্যান্স দেখতে পেয়েছি আবার অনেক মিসিং পারফরমেন্স দেখেছি । আর এবার আপনাদের মতামত জানার পালা । স্মার্ট ব্যান্ডের ভিতরে থাকা কোন পারফরম্যান্স আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এবং আর কি কি পরিবর্তন আনলে এটাকে আরো ভালো রূপ দেওয়া যেত বলে মনে হয় সে বিষয়গুলো আমাদেরকে জানাতে পারেন ছোট্ট একটি কমেন্টের মাধ্যমে ।
Tags:
শাওমি স্মার্টওয়াচ